দেশের বাজারে সোনার দামে পতন ঘটলেও এবার আগুন লেগেছে টমেটোর দামে। বর্তমান পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত প্রায় প্রত্যেক মানুষেরই পকেট ফাঁকা হচ্ছে টমেটো কিনতে গিয়ে। বাড় তো নয় যেন একেবারে তরতরিয়ে বাড় হ্যাঁ এমনটাই সত্যি। হেঁসেলে অন্যান্য সবজির যোগান থাকলেও টান শুধু এই লাল সবজিতে। প্রত্যেক বাজার গত মধ্যবিত্তের-ই ঘুম উড়ছে টমেটোর দামের জেরে।
প্রতি কেজি টমেটোর দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা, ভাবতে পারছেন না তো? কিন্তু এমনটাই ঘটেছিল কিছুদিন আগে এশিয়ার বৃহত্তম টমেটোর বাজার কর্নাটকের কোলারে। বর্তমান পরিস্থিতিতে চিত্রটা সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। এখন সেই কোলার বাজারে প্রতি কিলো টমাটো কিনতে গেলে না না করে শত টাকার উপর খষাতে হবে আপনাকে ।

এবার আসা যাক আসল কারণে, অতি পরিচিত মহারাষ্ট্রের নাসিক হল এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম টমেটোর বাজার। কৃষকদের কথায় এই বাজারে টমেটোর জোগান না থাকার পিছনে প্রধান কারণ হলো হোয়াইট ফ্লাই বা সাদা মাছির আক্রমণ। অর্থাৎ এই ভাইরাসের আক্রমণেই টমেটো উৎপাদনে এক বিরাট ধ্বস নেমেছে। এই ভাইরাস আক্রমণ করলে গাছের পাতা কুঁকড়ে গিয়ে ফল দেওয়া বন্ধ করে গাছ। ফলে চাহিদা থাকলেও যোগানে ঘাটতি। ফলপ্রসূত হু হু করে বাড়ছে বাজারে টমেটোর দাম।
চলতি সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বাজারগুলিতে কাঁচা সবজির মধ্যে টমেটোর দাম প্রতি কিলো সর্বনিম্ন ১০০ টাকার উপরেই অবস্থান করছে। যদিও কোন কোন জায়গায় ১৫০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে টমেটো। এছাড়াও এমনও জায়গা রয়েছে যেখানকার খুচরো বাজারে টমেটোর দর প্রতি কেজি পৌঁছে গিয়েছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায়। আর তা হল উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর অঞ্চল।
গত এপ্রিলে নাসিকের মত এত বড় টমেটোর বাজারে বিক্রি বন্ধ হয়েছে এই লাল সবজির। কর্নাটকের কোলার থেকে টমেটোর চাহিদা থাকলেও বিরাট ঘাটতি পরছে যোগানে। উৎপাদনের পাশাপাশি টমেটো পরিবহনের ক্ষেত্রেও হোয়াইট ফ্লাই বা সাদা মাছির আক্রমণ বজায় রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ তথা উত্তরপ্রদেশ, ছত্রিশগড়, মহারাষ্ট্র এমন কি বাংলাদেশেও এই টমাটো গিয়ে থাকে। যোগানের ঘাটতির কারণে তা আর সম্ভব হচ্ছে না। তাই ব্যবসাইদের মত অনুযায়ী সম্মুখ ভবিষ্যতে এই সবজির দাম আরো বাড়বে বলেই আশা করা যায়।
এই প্রকার প্রত্যেক দিনের বাজার দর সম্পর্কিত পোষ্টের সাথে আপডেটেড থাকতে- ajkersonardam.com এর সাথে জুড়ে থাকবেন।