গত নভেম্বরে বাংলাদেশের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধির পর গতকাল ০৪ মে ২০২৩ ভোজ্য তেল উৎপাদক সমিতি দ্বারা নির্ধারিত করা হলো সয়াবিন তেলের নতুন দাম। নতুন দাম অনুযায়ী বাংলাদেশের বাজারে আবারও বাড়লো সয়াবিন তেলের দাম। বোতল জাতীয় সয়াবিন তেল লিটার পিছু ১২ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯৯ টাকা।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতি থেকে জানা যায়, ভোজ্য তেলের আমদানিতে সরকার প্রদত্ত ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ গত রোববার শেষ হয়েছে। এহ্যানো পরিস্থিতিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ট্রেড টেরিফ কমিশনের সঙ্গে ভেজিটেবল অয়েল রিটার্নস এন্ড বনস্পতি আলোচনা সাপেক্ষে ভোজ্য তেলের মূল্য সমন্বয় করেছে।
বর্তমান বাংলাদেশে নতুন দাম অনুযায়ী বাজারে বোতলজাত সোয়াবিন তেলের মূল্য ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৯৯ টাকা নির্ধারিত করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতি লিটার খোলা সোয়াবিন তেলের দাম ৯ টাকা বাড়িয়ে ১৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অবশ্য ৫ লিটার বোতলজাত সোয়াবিন তেলের দাম পড়বে ৯৬০ টাকা। অন্যদিকে প্রতি লিটার খোলা পাম সুপার সয়াবিন তেল এর দাম পড়বে ১৩৫ টাকা।
এর আগে গত নভেম্বর ২০২২-তে বাংলাদেশের বাজারে সোয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল।
তারপর গত ডিসেম্বরে সয়াবিন তেলের দাম লিটার পিছু ৫ টাকা কমানো হয়েছিল খুচরা পর্যায়ে। এর ফলে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৮৭ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল প্রতি লিটার ১৬৭ টাকা। ও এছাড়াও পাম তেলের দামও কমানো হয়েছিল লিটার পিছু ৪ টাকা খুচরা পর্যায়ে। এর ফলে পাম তেলের দাম লিটার পিছু নির্ধারণ করা হয়েছিল ১১৭ টাকা। অন্যদিকে ওই সময় ৫ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের দাম ছিল ৯০৬ টাকা।
নিয়ম অনুযায়ী ভোজ্যতে আমদানিতে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি পায় যে কারণে বাজারের দাম নাগালের মধ্যে রাখতে গত বছরের মার্চে ভ্যাটের পরিমাণ ৫ শতাংশ নামই আনা হয়েছিল।
রমজান মাসে বাজারজাত ভোজ্য তেলের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখতে এই সুবিধার মেয়াদ ঈদের সময় পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিল ভোজ্যতেল উৎপাদক সমিতি। অবশ্য সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত রোববার পর্যন্ত নামিয়ে আনা ভ্যাটের সুবিধা বজায় রাখা হয়।