বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতি ১ ডলার সমান ১০৮ টাকা চলছে বাংলাদেশী টাকায়। আর এই হিসাব ধরে যদি বিদায়ী জুনে প্রেরিত রেমিট্যান্সের গণনা করা হয় তাহলে আমরা দেখতে পাবো বিগত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স এসেছে ২০২৩ অর্থাৎ চলতি বছরের জুন মাসে। দেশীয় মুদ্রায় প্রবাসী প্রেরিত রেমিট্যান্সের অংকটা দাঁড়ায় ২৩ হাজার ৭৪৭ কোটি ২ লক্ষ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসরণ করে আমরা দেখতে পাই যে, বিগত ১ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন ২০২ কোটি মার্কিন ডলার। তারপর জুন মাসের বাকি দিনগুলি পূরণ হলে রেমিটেন্সের অংকটা যে জায়গায় দাঁড়ায় তাতে করে বিগত তিন বছরের রেকর্ড ভেঙেছে গত জুনেই। জুন মাস শেষ হতেই প্রবাসী প্রেরিত রেমিটেন্সের পরিমাণ গত তিন বছরের সমস্ত রেকর্ড ছাড়িয়ে ২১৯ কোটি ৯০ লক্ষ্য ডলারে দাঁড়ায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে জানা যায় যে, বিদায়ী জুন মাসে সর্বোচ্চ ২১৯ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিটেন্স এসে বিগত তিন বছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। উক্ত রেমিটেন্স এর মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭৪ কটি ৬ লাখ ৬ হাজার মার্কিন ডলার রেমিটেন্স ঢুকেছে দেশে। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে, ৩৩ কোটি ৭ লাখ ৮৫ হাজার ডলার রেমিটেন্স এসেছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। এরপর তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিশেষায়িত ব্যাংক, এই মাধ্যমে দেশে রেমিটেন্স এসেছে ১০ কোটি ৯ লাখ ৪৯ হাজার মার্কিন ডলার। অবশেষে বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে দেশে এসেছে ৫ লাখ ৬১ হাজার ডলার রেমিটেন্স।
আরো পড়ুন- চলতি জুলাইয়ের প্রথম দুই সপ্তাহে বাংলাদেশের রেমিটেন্স ঢুকলো প্রায় ১০০ কোটি ডলার।
চলতি ২০২৩ এর মে মাসে দেশে প্রবাসী রেমিটেন্স এসেছিল ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ডলার। এছাড়াও গত এপ্রিলে রেমিটেন্স ঢুকেছিল ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ মার্কিন ডলার। অবশ্য চলতি অর্থবছরেই দেশে রেমিটেন্স এসেছিল ২০১ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার, বলা বাহুল্য জুনে এর পর চলতি অর্থবছরের মার্চ মাসেই এসেছিল সর্বোচ্চ রেমিটেন্স। এমনকি বছর শুরুতেই অর্থাৎ জানুয়ারিতে এসেছিল ৮৯ লাখ ডলার ও ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ১৫৬ কোটি ১২ লাখ মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য উদঘাটন করে দেখা যায় যে, গতবছর অর্থাৎ ২০২২ সালের জুন মাসে দেশে প্রবাসী আয় ঢুকেছিল ১৮৪ কোটি মার্কিন ডলার। এরই ঠিক আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের জুনে এসেছিল ১৯৪ কোটি ডলার। এছাড়াও ২০২০ সালের জুন মাসে প্রবাসী রেমিটেন্স এসেছিল যথাক্রমে ১৮৩ কোটি মার্কিন ডলার। অর্থাৎ বিগত তিন বছরের মধ্যে চলতি ২০২৩ সালের গত জুন মাসেই সর্বোচ্চ রেমিটেন্স এসেছে দেশে।