ভারতবর্ষের বাজারে পেট্রোল-ডিজেলের লাগাতার দাম বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস ওঠার যোগার। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্তের মুখে হাসি ফুটিয়ে লিটার পিছু জ্বালানি তেল এবার হতে চলেছে অনেকটা সস্তা। যদিও বিগত প্রায় এক বছর ধরে পেট্রোল-ডিজেলের দাম যে একই জায়গায় ঠাঁই দাঁড়িয়ে রয়েছে একথা আমাদের কারোরই অজানা নয়।

আগামী নভেম্বর ও ডিসেম্বরেই ভারতবর্ষের কিছু রাজ্যে ভোট পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এক পদক্ষেপ এর মধ্য দিয়ে জ্বালানি তেল সরবরাহকারী সংস্থাগুলির সাথে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমানোর বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। আলোচ্য বিষয় থেকে জানতে পারা যায় যে খুব শীঘ্রই দেশের বাজারে প্রতি লিটার পেট্রোল ও ডিজেলের দাম ৪-৫ টাকা পর্যন্ত কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
বর্তমানে জ্বালানির বিপণন ব্যবসায়ী একটি অনিশ্চিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। Opec+ এর মূল্য নির্ধারণশক্তি ৯-১২ মাসের মধ্যে অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি করতে পারে বলে জানা যায়। এমন পরিস্থিতিতেও জ্বালানি তেল উত্তোলনকারী সংস্থাগুলির অটুট বিশ্বাস যে অপরিশোধিত তেলের দাম ৮০ ডলার প্রতি ব্যারেলের নিচেই অবস্থান করবে। যদিও সামগ্রিক বিষয়টি ২০২৩- এর অর্থ বর্ষের উপরেই নির্ভর করবে।

এক রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে আগামী ভোটের আগে জ্বালানি তেলের দাম হ্রাস পাবার সম্ভাবনা খুবই কম। অথচ রিপোর্ট থেকে এও জানা যায় যে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ার সম্ভাবনাও নেই বললেই চলে।
ভবিষ্যতে দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম লিটার পিছু ৪-৫ টাকা সম্ভাব্য কমার পিছনে প্রধান কারণ হলো আগের থেকে ওএমসিকর অনেকটাই শক্তিশালী হয়েছে। এছাড়াও আগামী ২০২৪-এর অর্থবছরেও আরো মজবুত ও লাভজনক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জ্বালানি তেল কমানোর পুরো বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে অপরিশোধিত তেলের দামের সাথে ডলার প্রতি টাকার দামের উত্থান পতনের উপর। তাই রিপোর্ট অনুযায়ী এখনো সঠিকভাবে জানানো হয়নি ঠিক কত টাকা করে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমবে ভারতবর্ষের বাজারে।
এই প্রকার প্রত্যেকদিনের জ্বালানি তেল সম্পর্কিত তথ্যের সাথে আপডেটেড থাকতে- ajkersonardam.com এর সাথে জুড়ে থাকবেন।