প্রবাসীদের প্রণোদনা ও ডলারের ন্যায্য দাম নির্ধারণ-ই রেমিট্যান্সের পালে হাওয়া ধরাতে সক্ষম

2.8/5 - (6 votes)

বর্তমানে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রায় ২৮ শতাংশ আসে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স থেকে এ কথা তো প্রায় সবাই জানে। ঈদের আগে দেশে বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রেরনের মাত্রা ঠিকই ছিল। কিন্তু ঈদ অতিবাহিত হতেই চিত্রটা পাল্টে যায় পুরোপুরিভাবে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির মধ্যে কুয়েত হলো অন্যতম। বিশ্বের যেসব দেশ থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স আছে তাদের মধ্যে কুয়েতের স্থান রয়েছে বিশেষ পর্যায়ে। এমতাবস্থায় হঠাৎ করেই কমে গেছে কুয়েত থেকে পাঠানো রেমিটেন্সের পরিমাণ। অবশ্য মানি এক্সচেঞ্জগুলো এই দায়ভার চাপিয়েছে ডলার মূল্যের বৈষম্য ও হুন্ডির মতো অবৈধ পন্থা গুলির ওপর। অবশ্য সংশ্লিষ্টরা মনে করেন বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রবাহ ধরে রাখতে ডলারের ন্যায দাম নির্ধারণ ও প্রবাসীদের প্রণোদনা বৃদ্ধি হল একমাত্র পথ।

এখন মোদ্দা কথা হল, বৈধ পথে টাকা না পাঠিয়ে কুয়েতে বসবাসকারী প্রবাসী ভাইয়েরা বেছে নিচ্ছে হুন্ডির মত অবৈধ পন্থা। এ ব্যাপারে কুয়েতের এক্সচেঞ্জ কোম্পানি কর্মকর্তা সংস্থার সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, বর্তমান প্রযুক্তি ব্যবহার করে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দেশে টাকা পাঠানো সম্ভব। কিন্তু প্রবাসীরা সামান্য লাভের আশায় অবৈধ হুন্ডি পন্থাকেই বেছে নিচ্ছে। আর এটা ঘটছে শুধুমাত্র ডলার রেট বৈষম্যের কারণে।

বর্তমানে মানি এক্সচেঞ্জ সংস্থাগুলি থেকে জানা যায়, এই বছর মার্চে ১ দিনারের পরিবর্তে ৩৭০ টাকা পাঠাতে পারেন প্রবাসীরা। তবে এখন তা মিলছে ৩৫০ টাকা। আবার অন্যদিকে, বাংলাদেশ থেকে অন্যান্য দেশে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ১ ডলারের বিপরীতে ১১৪ টাকা দেওয়া হলেও রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে দেওয়া হচ্ছে ১০৭ টাকা।

সমস্ত প্রবাসী ভাইদের জিজ্ঞেস করলে তারা বলে কুয়েতি দিনারের মূল্য বেশি পেতে হুন্ডির মত অবৈধ পন্থা গ্রহণ করে চলেছে তাঁরা ক্রমাগত। তারা আরো জানায় যে হিন্দির মাধ্যমে প্রেরিত অর্থের সমপরিমাণ মূল্য বৈধ মাধ্যমে পেলে অবৈধ পন্থাকে ক্রমাগত বর্জন করবে তারা। ফলস্বরূপ বর্তমানে বৈধ চ্যানেলে কমছে রেমিটেন্স প্রবাহ।

Scroll to Top