ইতিমধ্যেই আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংক ডিপার্টমেন্ট অফ কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট এর নির্দেশনা অনুযায়ী জানানো হয়েছে যে প্রত্যেক তফসিলি শাখা ব্যাংককে নিতে হবে ছেঁড়া, ফাটা ও ময়লা নোট।
কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আকস্মিক পরিদর্শন ও গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নির্দেশ প্রায়শই অগ্রাহ্য করে চলেছে অধিকাংশ তফসিলি শাখা ব্যাংকগুলি। এই সমস্ত কারণে সাধারণ মানুষকে তাদের ছেঁড়া, ফাটা ও ময়লা নোটগুলি ব্যাংকের মাধ্যমে বিনিময় করতে বেশ নাজেহাল হতে হচ্ছে।

এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক আরো নির্দেশ দিয়েছে যে প্রত্যেক তফশিলি শাখা ব্যাংকের সামনে অর্থাৎ সাধারণ জনসাধারণের দৃষ্টিগোচর হবে এমন স্থানে ২০ ফ্রন্টে রঙিন কালি দিয়ে লিখতে হবে ছেঁড়া, ফাটা ও ময়লা নোট গ্রহণ করা হয়ে থাকে। এই কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আবারও নির্দেশ দিয়েছে যে সমস্ত শাখা ব্যাংকে ছেঁড়া, ফাটা ও ময়লা নোট সংক্রান্ত সমস্ত ধরনের যথোপযুক্ত সেবা প্রদান করা হবে।
প্রত্যেক জনসাধারণের জেনে রাখা ভালো যে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তরফ থেকে ২০১৩ সালে ছেঁড়া, ফাটা ও ময়লা নোট গ্রহণ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছিল। উক্ত পরিপত্রের পরিশিষ্ট ‘ক’ এর ১ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা আছে যে, ‘প্রত্যেক তফসিলি শাখা ব্যাংক গুলিকে জনসাধারণের দৃষ্টিগোচর হয়ে থাকে এমন একটি জায়গায় ছেঁড়া, ফাটা ও ময়লা নোট গ্রহণ করা হয়ে থাকে’ এইরকম নোটিশ জারি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।