ভারতবর্ষের বাজারে পেট্রোলের দাম নাকি ১৫ টাকা লিটারে নামিয়ানা সম্ভব। অবাক হচ্ছেন? এমনই উক্তি সাফ জানিয়ে দিলেন আমাদের কেন্দ্রীয় রোড ট্রান্সপোর্ট এন্ড হাইওয়ে মন্ত্রী নীতিন গড়করি। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন যে দেশের বাজারে সব ঠিক থাকলে জ্বালানি তেলের দাম প্রতি লিটার পিছু ১৫ টাকায় নামিয়ে আনা এমন কিছু বড় ব্যাপার নয়। তাহলে চলুন পুরো ব্যাপারটা বুঝে নেওয়া যাক কোন পদ্ধতিতে প্রত্যেক কৃষক হবেন মালামাল অথচ জ্বালানি তেলের দাম নেমে আসবে ১৫ টাকা লিটারে।

তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী স্পষ্ট বোঝা যায় যে তিনি পেট্রোলের বিকল্প হিসাবে ইথানলের উপরেই ভবিষ্যৎ দেখছেন। তার কথায় বাণিজ্য ও অর্থনীতির প্রধান সূত্র হলো কোন জিনিসের চাহিদা যদি শীর্ষ পর্যায় থাকে তাহলে সেই জিনিসটির সাশ্রয়ী মূল্যের বিকল্প উৎপাদন করতে পারলেই দাম আপসে তলা নিতে ঠেকবে। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি পেট্রোলের সাশ্রয়ী মূল্যের বিকল্প হিসাবে দেখছেন ইথানলকেই। তিনি আরো বলেন যে যদি পেট্রোল চালিত যানবাহনের বদলে ইথানল চালিত যানবাহন রাস্তায় নামানো যায় সেক্ষেত্রে দাম স্বাভাবিকভাবেই নেমে আসবে।
যানবাহনে প্রবাহিত জ্বালানির দাম তোমার পিছনে সহজ হিসাবটি হল, ৬০ শতাংশ ইথানল আর ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ কাজে লাগানো। অর্থাৎ প্রতি লিটার ইথানলের দাম পরে ৬০ টাকা ও সেইসঙ্গে ৪০ শতাংশ মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। ফলপ্রসূত, প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম নেমে আসবে শুধুমাত্র ১৫ টাকায়।
এখন আখেরে লাভবান হবেন আমাদেরই দেশের কৃষক সম্প্রদায়। কারণ হিসাবে আমরা দেখতে পাই যে, কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের পরিত্যক্ত অংশটুকু জমিয়ে অর্থাৎ যে জিনিসটাকে আমরা বায়োমাস বলে চিনি তা দিয়ে ইথানল উৎপাদন করা সম্ভব। আর বিদেশ থেকে জ্বালানি তেল আমদানি করতে ভারতবর্ষের খরচা হয়ে থাকে ১৬ লক্ষ্য কোটি টাকা মত। তাই বর্তমান পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে সম্মুখ ভবিষ্যতে যদি ইথানল চালিত যানবাহন রাস্তায় নামানো যায় এই পুরো টাকাটাই কৃষকদের খাতায় জমা হবে।